যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের সাতটি জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এসব কমিটির দায়িত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুলাই) রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনটির যশোর, ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল জেলা শাখা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিগুলোর নির্ধারিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
এদিকে এ ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গায় সংগঠনটির সাবেক নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এর প্রতিক্রিয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদ্য সাবেক সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘চুয়াডাঙ্গার আর কোনো অফিসিয়াল পরিচয় থাকল না। সাবেক হয়ে গেলাম, আলহামদুলিল্লাহ। যে দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছিল, সেটি থেকে অফিশিয়ালি মুক্তি পেলাম। আমি চেষ্টা করেছি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে নতুন পরিচয়ে রাজপথে ফিরব। রাজপথই আমার পরিচয়, সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল।’
সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, ‘সব সময় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আগামীতে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকব। এ মুহূর্তে কোনো দলে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা নেই।’
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি গঠিত হয়। ছয় মাসের মেয়াদ শেষে এ বছরের এপ্রিলে কমিটির কার্যকাল শেষ হয়।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, জেলা কমিটির পাশাপাশি উপজেলা কমিটিগুলোও স্থগিত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম